মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বিএনপির হাতে বাংলাদেশ গেলে সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—কিছু থাকবে না:কাদের

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি পদে পদে দেশের রাজনীতিকে কলুষিত, রক্তাক্ত ও দূষিত করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে মৃত্যু–উপত্যকা বানিয়ে ফেলে। বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ‘বিষফোড়া’ বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

দেশের বর্তমান স্থিতাবস্থা পাল্টে গেলে বাংলাদেশ আবার উল্টো পথে চলবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাতে বাংলাদেশ গেলে সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—কিছু থাকবে না। রাজাকার হবে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা হবে রাজাকার। যুদ্ধাপরাধী পাবে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশের চেতনাবিরোধীরা পাবে একুশে পুরস্কার।’

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুতির ঘাটতির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রস্তুতির যে ঘাটতি লক্ষ করছি, তা পূরণে বেশি সময় নেই। শত্রুরা বসে নেই। তারা জেনে গেছে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কাছে তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত। সন্ত্রাস, নাশকতা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা করতে বেশি লোকের প্রয়োজন হয় না। বিএনপির এ নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই মানুষ ধরে নিয়েছে, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

বিএনপির আন্দোলনের মাঠ খালি হয়ে যাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা আপনাদের পেছনে ছিল, তারাও সরে যাচ্ছে। মাঠ পাবলিকই খালি করে দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির অত্যাচারের কথা ভুলে গেছেন? আমরা এই মঞ্চের সবাই অত্যাচারিত। মামলা-হামলা কম কিছু তো করেননি। পালিয়ে যাওয়ার গল্প আপনাদের। লুটপাট করে লন্ডনে পালিয়ে গেছে।’

বিএনপির বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের আটঘাট বেঁধে নামতে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গিবাদী অশুভ শক্তিকে ঠেকাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্য না থাকলে নিজেরাই বিপদে পড়তে হবে। ভুল–বোঝাবুঝির অবকাশ নেই। আওয়ামী লীগ কখনো একা চলে না। সমমনা জোটকে নিয়েই আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে। অহেতুক সংশয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না।’

৭ মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো লিখিত ছাড়াই এ বক্তব্য দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা বলেছেন, মন থেকে বলেছেন, চেতনা থেকে বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো আরেকজন রাষ্ট্রনায়ক পাওয়া কঠিন। যে ভাষণকে ইউনেসকো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই ভাষণ বিএনপি নিষিদ্ধ করেছিল।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইতিহাস বিকৃতি করে তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীন।

সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকে অবহেলা করবেন না। সংগঠিত থাকবেন। জনগণের সঙ্গে মিশবেন।’

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION